ভবানীপুরে বিজেপি জোরালো প্রচার করলেও সেভাবে আঁচড় কাটতে পারছিল না। বঙ্গ–বিজেপির নেতারা তা টের পেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে মন্ত্রী পাঠাতে অনুরোধ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তারপর পরিবর্তন হয়েছিল রাজ্য সভাপতি পদের। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি তিনদিন ধরে প্রচার করতে নেমে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন। তারপর পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে। তিনি এখানে প্রচারে এসে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন।
কোন বিস্ফোরক তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘উনি এখন সামান্য চিন্তিত। আমি অনুভব করেছি উনি ওয়াকিবহাল যে, চোরাস্রোত ওনার বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে। উনিও অনুভব করেছেন ভোট পরবর্তী হিংসা এই ভবানীপুর উপনির্বাচনে বড় ইস্যু হতে চলেছে।’ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রচারের বিষয় পরিষ্কার করে দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। যিনি একুশের নির্বাচনে এন্টালি থেকে পরাজিত হয়েছিলেন বিপুল ভোটে। আর এখানে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ পরাজিত হয়েছিলেন বিপুল ভোটে। এখানে প্রচারে এসেছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরও জিততে পারেননি রুদ্রনীল।
এখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে বলেন, ‘এসেছেন ভালো কথা। কিন্তু ওঁকে জিজ্ঞাসা করবেন, গ্যাস বা পেট্রোলের দাম কবে কমাবেন।’ সুতরাং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রচারকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলছেন, মোদী জমানায় কাজের খতিয়ান। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা—‘বাংলা বামশূন্য, এবার লক্ষ্য বিজেপিমুক্ত দেশ।’