তিনদিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রের পাঠানো টিম। ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত কতটা হয়েছে তারই বিবরণ সংগ্রহ করতে এসেছিলেন তাঁরা। বুধবারই ফিরে গেলেন টিমের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় সরকারের হোম অ্যাফেয়ার্সের যুগ্ম সচিব এসকে শাহানির নেতৃত্বের টিমের সদস্যরা রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনাও করেন। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও তাঁরা ঘুরে দেখেছেন। তাদের রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় অনুদান। টিমের এক সদস্য জানিয়েছেন, পূর্ণিমায় জোয়ারের জল ফের উপকূলের গ্রামে ঢুকতে পারে। সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামগুলি ঘুরে দেখেন। কলকাতা সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেও তাঁরা যান।
প্রসঙ্গত এর আগে ক্ষয়ক্ষতির একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্ষতির হিসাব দেখানো হয়েছে ২০০০০ কোটি টাকা। এরপরই কেন্দ্রীয় টিম সামগ্রিক পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন। নানা বিষয় তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন। এদিকে ২৬শে মে ইয়াস ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সুন্দরবন উপকূলে। কৃষি ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন গ্রামের সাধারণ মানুষ। এবার কেন্দ্রীয় ক্ষতিপূরণ কত মিলবে সেদিকেই তাকিয়ে বিভিন্ন মহল।