রাজ্যের সড়ক পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জন্য রাজ্য সরকারের সাহায্য চাই। তাই উন্নয়নে গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার চিঠি দিলেন নীতীন গড়কড়ি। এই বিষয়ে এবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও আপস করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। এমনকী এক্ষেত্রে জমিও কোনও সমস্যা নয় বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। অন্যান্য ছাড়পত্র এবং কাজের ক্ষেত্রে অকারণে দেরি যেন না হয় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে পর পর কয়েকটি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৩ বছরের শাসনকালে গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই তথ্য দেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৭ ডিসেম্বর ওই চিঠি এসেছে নবান্নে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, রাজ্য এবং দেশের আর্থিক উন্নতির ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই সময় মতো প্রায়োজনীয় জমির ব্যবস্থা, রাজ্যের ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাজ দ্রুততার সঙ্গে হওয়া দরকার। এই কাজ সময়মতো হলে আমজনতার সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: কল্লোলিনী কলকাতায় এবার বসতে চলেছে এয়ার ফাইবার, কী উপকার হবে তাতে?
অভিযোগ আছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা রাজ্য সরকার পায়নি। ১০০ দিনের কাজের টাকাও মেলেনি। সেখানে বকেয়া মিটিয়েছে রাজ্য সরকার। আবার পথশ্রী প্রকল্প করে রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছে রাজ্য সরকার। তাই যে কাজ আটকে আছে তা করতে রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী। জমি অধিগ্রহণ, অরণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র, মাটির নীচ থেকে জলের পাইপলাইন, ইলেকট্রিক লাইন মেরামতের মতো কাজগুলি করতে দেরি হওয়ায় বাংলার একাধিক কাজ আটকে রয়েছে। এই কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন বলে সূত্রের খবর।
এই চিঠির সঙ্গেই বাংলার ডিপিআর স্তরে থাকা ৯টি এবং অন্যান্য স্তরে আটকে থাকা ১১টি প্রকল্পের কাজের তালিকাও পাঠিয়েছেন গড়কড়ি। সেই তালিকায় আছে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তিস্তা নদীর উপর সেতু, দুবরাজপুর বাইপাস, কংসাবতী নদীর উপর সেতু, শিলাবতী নদীর উপর সেতু, ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ, রামনগর বাইপাস, পানাগড় থেকে পালসিট পর্যন্ত জাতীয় করিডর ৬ লেন করার কাজ, শিলিগুড়ি রিং রোডের অ্যালাইনমেন্ট–সহ নানা কাজ বাকি আছে। এই কাজে গতি আনতে বাংলার মুখ্যসচিবকে গড়কড়ির মন্ত্রক এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।