আবাস যোজনার কাজ দেখতে একবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এসেছিল। আর দ্বিতীয় দফায় আবার আসছে তাঁরা। এই নিয়ে নবান্নকে চিঠি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। এবার সেখানেই থেমে না থেকে বাংলার উপর আরও বেশি করে খেয়াল রাখার উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এবার বাংলার স্কুলে স্কুলে মিড–ডে মিল প্রকল্প কেমন চলছে? সেটা দেখতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে এর পিছনে রাজনীতি আছে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পোষণ (মিড মিলের নতুন নাম) প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে কেমন চলছে? সেটা দেখতে একটি যৌথ টিম পাঠানো হচ্ছে। এই টিমে থাকবেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররা। রাজ্য সরকারের অফিসারদেরও এই টিমে সামিল হতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মিড–ডে মিলে মুরগির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারপরই মোদীর টিম খতিয়ে দেখতে আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কী দেখবে মোদীর টিম? সূত্রের খবর, এখানে বেশ কয়েকটি বিষয় তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। সেগুলি হল— রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে কীভাবে টাকা পাঠাচ্ছে। মিড–ডে মিলের সুবিধা কারা পাচ্ছে। মিড–ডে মিল প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকাঠামো কেমন। রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে কী পরিমাণে খাদ্যশস্য পাঠাচ্ছে। এই প্রকল্প খাতে স্থায়ী সম্পদ কেমন। মিড–ডে মিলের রান্নাঘর কীভাবে তৈরি হয়েছে। হাতা, খুন্তি, কড়াই, হাঁড়ি কী পরিমাণে কেনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে কিনা। কৃমির ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কিনা। ছাত্রছাত্রীদের ও রাঁধুনির আধার কার্ডের এনরোলমেন্ট হয়েছে কিনা। রাঁধুনিরা ঠিক সময়ে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন কি না। প্রকল্প বাস্তবায়নের শিক্ষকদের ভূমিকা কী। মিড–ডে মিলের খাবার শিক্ষক, অভিভাবক বা সমাজের পরিচিত কেউ পরীক্ষা করে দেখেছেন কিনা। ছাত্রদের বডি মাস ইনডেক্স কেমন এবং ছাত্রদের পুষ্টি কেমন মিলছে সব খতিয়ে দেখবেন এই টিমের সদস্যরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? বাংলায় মিড–ডে মিল নিয়েও বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল। তাই এই টিম আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকার সমস্ত নথি তৈরি রেখেছে। এছাড়া সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা খুশি। কারণ মিড–ডে মিল ঠিকই তাঁরা পাচ্ছেন। এমনকী করোনাভাইরাস আবহে পর্যন্ত মিড–ডে মিল দিয়ে রাজ্য সরকার সহায়তা করেছে। আবার মিড–ডে মিলে সম্প্রতি টিকটিকি, সাপ পাওয়া যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছেই। আর তার মধ্যেই চিঠি এসেছে নয়াদিল্লি থেকে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup