রাজ্যে বিধানসভার ৭ আসনে নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই শনিবার ৫ জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। চিঠিতে ওই ৫ জেলায় বিধানসভা নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য তাঁদের তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যে উপ-নির্বাচন করতে চাইলে কম সময়েই যাতে গোটা প্রক্রিয়া সেরে ফেলা যায় সেজন্যই এই উদ্যোগ।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন মিটেছে সবে ২ মাস পার হয়েছে। এর মধ্যে শূন্য হয়েছে ৫টি আসন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় ২টি আসনে নির্বাচনই হয়নি। সেই ৭টি আসনে নির্বাচন করানোর দাবিতে চলতি সপ্তাহেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তৃণমূলের আশা, খুব দ্রুত ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূলের তরফে কমিশনকে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে খুব দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করলেও তাদের আপত্তি নেই। আর তাই আগেভাগে যে আসনগুলিতে নির্বাচন হবে সেই জেলাগুলির নির্বাচনী আধিকারিকদের EVM ও VVPAT পরীক্ষা করে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
এদিন কোচবিহার, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে চিঠি পৌঁছেছে। কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর, মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ও কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে নির্বাচন বকেয়া রয়েছে।
এর মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্রে নজর রয়েছে সবার। কারণ ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হওয়ায় আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে মমতাকে উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করতেই হবে। নইলে ছাড়তে হবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ।