নয়া বিল না দেওয়া পর্যন্ত জুনের অস্বাভাবিক চড়া বিল জমা দিতে হবে না। সিইএসসি গ্রাহকদের এমনই বার্তা দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সিইএসসি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রীর বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছে, তা জেনে নিন -
বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, 'আমি মানুষকে অস্বাভাবিক চড়া বিল জমা না দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। সিইএসসির কর্তারা আমায় জানিয়েছেন, তাঁরা পৃথকভাবে জুনে কত বিদ্যুৎ ব্য়বহার করা হয়েছে, সেই হিসাব করবেন এবং নতুন একটি বিল দেওয়া হবে। যা কম হবে।'
মন্ত্রী জানান, জুনের বিল না দিলে কারোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। লেট ফাইনও দিতে হবে না। জুনের বিলে মিলবে রিবেটও।
সিইএসসির সঙ্গে সোমবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। অর্থাৎ রবিবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংস্থার ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করলে সোমবার সিইএসসি যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে রাজ্য সন্তুষ্ট হয়েছে।
যদিও আদৌ যে বৈঠকে গ্রাহকদের মূল সমস্যার উপশম হল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। নিজেও কিছুটা অন্ধকারে রয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে ওরা আমায় জানিয়েছে, এপ্রিল এবং মে'র বিল নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তা পরে নেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেনি।’ তবে তিনি জানান, পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে সিইএসসি। তা মঞুজর করা হয়েছে।
এছাড়াও যে গ্রাহকরা ইতিমধ্যে অনলাইন বা সিইএসসির কাউন্টারে গিয়ে বিল জমা দিয়েছেন, তাঁদেরও কি নয়া বিল আসবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। বিশেষত মন্ত্রীর দাবি মতো নয়া বিলের অঙ্ক হবে। সেক্ষেত্রে ওই গ্রাহকরা যে বাড়তি অর্থ দিয়েছেন, তা ফেরানো হবে নাকি পরের মাসের বিলের থেকে সেই বাড়তি অঙ্কটা বাদ দেওয়া হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।