বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসি-তেও নাকি রয়েছে থ্রেট কালচার! যা নিয়ে মঙ্গলবারই সংবাদমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন এক মহিলা। আর বুধবার, প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়ো সেই জল্পনা আরও উস্কে দিল (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)।
মঙ্গলবার টিভি৯ বাংলায় সম্প্রচারিত খবরে সিইএসসি-র এক মহিলা কর্মী দাবি করেন, হুগলি জেলায় কর্মরত থাকাকালীন লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সংগঠনের এক নেতার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তাঁর দাবি ছিল, ওই তৃণমূল নেতার নাম সমীর পাঁজা।
মহিলার দাবি ছিল, সমীর পাঁজার অত্যাচারে অতীষ্ট হয়েই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন এবং তাদের হস্তক্ষেপে কলকাতার শ্যামবাজার কার্যালয়ে বদলি হয়ে চলে আসেন। কিন্তু, সেখানেও তাঁকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এর জন্য সমীর পাঁজার অনুগামীদেরই কাঠগড়ায় তোলেন ওই মহিলা। পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে, ওই মহিলার বিরুদ্ধেই নানাবিধ অভিযোগ তুলে মঙ্গলবারই সিইএসসি-র প্রধান কার্যালয়-সহ একা শাখা কার্যালয়ে কর্মীদের একাংশ কর্মবিরতি পালন করেন।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে, তাতে দেখা যায়, সিইএসসি-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষকে তাঁর বসার জায়গাতেই ঘিরে ধরে চিৎকার করছেন একদল মহিলা। এমনকী, সেই সময় তাঁকে আঘাত করারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সূত্রের দাবি, এই বিক্ষোভকারীরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সংগঠনের নেতা সমীর পাঁজার অনুগামী। তাঁরা সকলেই সমীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রতিবাদ জানান। বরং, সমীরের অনুগামীদের দাবি, অভিজিৎ ঘোষই নাকি আদতে দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিক। আর সেই কারণেই তাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
ওদিকে, টিভি৯ বাংলায় প্রকাশিত খবর অনুসারে, সমীর পাঁজা নিজেও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সিইএসসি-র কোনও কর্মীকে কখনও হুমকি দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সিইএসসি-র কর্মীদের একাংশের কর্মবিরতির জেরে পরিষেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ গ্রাহকরা।
প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যজুড়ে সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে থ্রেট কালচার নিয়ে প্রথম সরব হন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই অপসংস্কৃতি দূর করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। যার জন্য দুর্গাপুজোর আবহে আন্দোলনের ঝাঁঝ ফের বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবার সেই রেশ ছড়িয়ে পড়ল বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি-র অন্দরেও।