নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অন্যতম দালাল চন্দন মণ্ডল চাকরি দেওয়ার নামে মোট ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন। আদালতে এমনই জানিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার চন্দনকে আদালতে পেশ করলেও হেফাজতে নিতে চাননি তদন্তকারীরা। এজন্য আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
আদালতে এদিন সিবিআই জানায়, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রথম থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিলেন চন্দন মণ্ডল। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনি ৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতারির পর জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন আরও ১০ কোটি টাকা লেনদেনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।
গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু চাকরি বিক্রি নয়, নিজের মেয়ে, ভাইঝি ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দেরও চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে সিবিআই।
এদিন চন্দনকে আদালতে পেশের পর তাঁকে আর হেফাজতে চায়নি সিবিআই। কিন্তু চন্দনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে তারা। এতে বিচারক তাদের প্রশ্ন করে, ৯ মাস চন্দনকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। তখন তাদের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলে মনে হয়নি। এখন তাহলে সেকথা মনে হচ্ছে কেন? তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এলেও কেন চন্দনকে হেফাজতে চাইছে না তারা? চন্দন অসহযোগিতা করছেন বলে দাবি করলেও কেন তাকে জেল হেফাজতে পাঠাতে সওয়াল করা হচ্ছে? শেষ পাওয়া খবরে শুনানি চলছে।
এদিন আদালতে পেশের সময় সাংবাদিকরা চন্দনকে প্রশ্ন করেন, কাকে টাকা দিতেন? যদিও তার কোনও জবাব দেননি চন্দন। সিবিআইয়ের স্ববিরোধী অবস্থান চন্দনকে জামিন পেতে সাহায্য করে কি না সেটাও দেখার।