এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টানা ২৬ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করেছে ইডি। তার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি সহ তার বিভিন্ন ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং সোনা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। তারপরেই আজ সকালে তাকে ইডি গ্রেফতার করেছে । তবে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় থেকেই তাঁর পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে।
গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যখন ইডির জেরা চলছিল তখন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্য এমনটা করা হচ্ছে। তবে এর ফলে দলের কোনও নেতা কর্মীর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হলে তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না। আর যদি সেরকম হয় তাহলে ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থায় দায়ী থাকবে। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গতকাল একযোগে ১৪ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করে।
তারপরে অবশ্য কটাক্ষ করেছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছিলেন, ‘ইডির উচিত ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আরও আগে ডাকা। বিজেপিকে সাহায্য করতে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বোঝা যাচ্ছে ভাইপোর নাম কয়লা পাচার কাণ্ডের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য হয়তো এটা করেছেন।’
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, ‘এই সরকারের নিচু তলার কর্মী থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব কেউই বাদ নেই যে তার গায়ে চুরির তকমা লেগে নেই।’