মানুষের হাতে টাকা পৌঁছানো খুব জরুরি। নাহলে অর্থনীতির চাকা মসৃণভাবে ঘুরতে পারবে না। সম্প্রতি দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এমনই প্রস্তাব রাখলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
গত সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের তরফে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ ছিল। সেই সময়ই রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ‘রাজ্যে মানুষের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়া ও অর্থনীতিকে সচল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছেন। রাজ্যে কনসিউমার প্রাইস ইনডেক্স অক্টোবর মাসে ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিক ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, শিল্প কারখানাগুলি কাজ দিতে পারছে না। মানুষের ব্যক্তিগত ক্রয় ক্ষমতা ২০১৯–২০ অর্থবর্ষের তুলনায় অনেকটাই কম। তাঁর দাবি, মানুষের হাতে টাকা পৌঁছানোর মতো পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে কেন্দ্রকে। শুধু নির্বাচনী চমক দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বললে চলবে না। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে তবেই দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো হবে।'
একইসঙ্গে রাজ্যের তরফে অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সারা দেশে জিডিপি যেখানে ৭.৩ শতাংশ কমেছে, সেখানে রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৬ শতাংশ। গোটা দেশ থেকে কর সংগ্রহ করে রাজ্যের যে অংশ পাওয়ার কথা, সেই তুলনায় অনেক কম টাকা পাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্র দিচ্ছে না। ওই বৈঠকে রাজ্যের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাও রাজ্যকে করতে হয়েছে। ত্রাণ ও অন্যান্য খাতে বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালিয়েছে সরকার।