১৭২ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। আর সেই চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা তথ্য প্রমাণ। পাশাপাশি অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যে নিবিড় যোগ ছিল তারও নানা প্রমাণ হাজির করা হয়েছে চার্জশিটে। কীভাবে দিনের পর দিন ধরে শিক্ষক নিয়োগের চাকরির বিনিময়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বেআইনী লেনদেন হত তারই নানা তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। সেই বেআইনী লেনদেনের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছিল টাকার পাহাড়। এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আর চার্জশিটের ৫৩ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২২ ও ২৩ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় একটি খাম পাওয়া যায়। সেই খামের উপর লেখা ছিল মিনিস্টার ইন চার্জ, ডিপার্টমেন্ট অফ হায়ার এডুকেশন, স্কুল এডুকেশন, পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। আর সেই খাম খুলতেই হতবাক তদন্তকারীরা।
খামের ভেতরে মোট ৫ লাখ নগদ টাকা ছিল। এরপর ইডি সেই অর্থ বাজেয়াপ্ত করে। এনিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তবে ইডি সূত্রে খবর, সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর উপস্থিতিতে এই অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়নি। এনিয়ে তাঁর কোনও আইডিয়া নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এখানেই প্রশ্ন, অর্পিতার ফ্ল্যাটে সরকারি সীলমোহর দেওয়া খাম এল কীভাবে? তবে কি চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকার পাশাপাশি শিক্ষাদফতরের অন্য দুর্নীতির টাকা সরিয়ে রেখে জমা করা হত অর্পিতা ফ্ল্যাটে? সবটাই দেখছেন তদন্তকারীরা।