২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে মানুষটিকে দেখা গিয়েছিল তিনি ছত্রধর মাহাতো। জেল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেদিন দাপুটে তৃণমূল নেতা পার্থর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন ছত্রধর। আর এবার ঘটনাচক্রে একেবারে প্রেসিডেন্সি জেলে সহবন্দি হিসাবে পার্থকে দেখলেন ছত্রধর মাহাতো। বলা যায় জেলের ভেতর পার্থর পড়শি ছত্রধর। সূত্রের খবর, সেই ছত্রধর মাহাতো পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কথা বলতে চাননি পার্থ।
এনিয়ে চর্চাও চলছে পুরোদমে। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই ২০২০ সালের কথা। সেবার পার্থ আর ছত্রধর দুজনকেই দেখা গিয়েছিল এক ফ্রেমে। পরে অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ছত্রধর। আর সেই তৃণমূলেরই মহাসচিব ছিলেন পার্থ। বর্তমানে দল তাঁর সেই পদ কেড়ে নিয়েছে। মন্ত্রীত্বও কেড়ে নিয়েছে দল। কিন্তু সেই পুরানো পরিচিতির খাতিরেই হয়তো এগিয়ে গিয়েছিলেন ছত্রধর। কিন্তু কথাই বললেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে ঘটনার ঘনঘটা। শাসকদলের রাজনীতির অন্দরেও নানা ঘটনা। কিন্তু সেসব থেকে দূরে রয়েছেন পার্থ। খবরের কাগজ খুলেও দেখছেন না। সেখানে খুললেই অপার দুর্নীতির খবর। আইনজীবীর মাধ্যমে কিছু ম্যাগাজিন চেয়েছেন তিনি। বইয়ের পাতায় চোখ বোলাচ্ছেন তিনি। সেলের বাইরে রাখা ড্রাম থেকে জল নিয়ে মাথাতেও ঢেলেছেন এদিন। কার্যত না করলেই নয় তাই। সেলের মধ্যে রয়েছে কথামৃত। কিন্তু সব কিছুতেই কেমন যেন উদাসীন হয়ে রয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।