গোলপার্ক থেকে একটি রাস্তা এসেছে রবীন্দ্র সরোবরের দিকে। আবার টালিগঞ্জ থেকে একটি রাস্তা এসেছে রবীন্দ্র সরোবরে। আর সার্দান অ্যাভিনিউ ধরে মেনকা সিনেমা হলের দিকে এলে রবীন্দ্র সরোবরে প্রবেশ করার পথ মিলবে। এখন ছটপুজো উপলক্ষ্যে বন্ধ আছে রবীন্দ্র সরোবর। তাই সেখানে ঢুকতে না পেরে কিছু যুবক রবীন্দ্র সরোবরের চারদিকে দেদার চকলেট বোমা ফাটাচ্ছে বলে অভিযোগ। কানে তালা লাগার আওয়াজে কেঁপে উঠছেন প্রবীণ নাগরিকরা। রবীন্দ্র সরোবরের চারদিকে পুলিশ থাকলেও শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না। রাস্তায় থাকা কর্তব্যরত পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল না। নড়াচড়াও করলেন না বলে অভিযোগ।
সুভাষ সরোবরের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছে। সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি বলে পকেট থেকে নানারকম বোমা, কালীপটকা ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে সাধারণ মানুষ থেকে প্রবীণ নাগরিকরা চমকে উঠলেন। সুভাষ সরোবর এবং রবীন্দ্র সরোবরে গাড়ি ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ। কিন্তু শব্দবাজির তাণ্ডবও আটকাতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। দুই সরোবরের গেটেই ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ। তারপরও এমন ঘটনা ঘটল কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের সঙ্গে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরাও ছিলেন রবীন্দ্র সরোবর এলাকায়। তারপরও এই শব্দবাজির দাপট নিয়ে এক নাগরিক পুলিশকে বললে উত্তর আসে, অপেক্ষা করুন, থেমে যাবে। পুলিশ কড়া না হলে পরিবেশ রক্ষা কি সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ফালাকাটার আকাশপথে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, হঠাৎ সেখানে কী কাণ্ড ঘটল?
ছটপুজোকে সামনে রেখে কার্যত দীপাবলি পালন করা হল দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরের চারপাশে। কোথাও ফাটল দেদার শব্দবাজি, কোথাও ডিজে বক্সের ব্যাপক শব্দ কান ঝালাপালা করে দিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। চলন্ত গাড়ির মাথা থেকে ছোঁড়া হল চকোলেট বোমা বলেও অভিযোগ। আর রাসবিহারী এলাকায় গাড়িতে বিরাট বড় বক্স সাজিয়ে তুমুল শব্দ তুলে চলে শোভাযাত্রা। তার সঙ্গে তাসার দল। এই ঘটনার পরই দেখা গেল, গোটা এলাকায় বারুদের গন্ধে মম করছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ যেন এখানেই ঘটে গেল।
শোভাযাত্রা থেকে ফাটানো হয় দেদার শব্দবাজি। এই পরিস্থিতি দেখে একজন প্রবীণ নাগরিক পুলিশকর্মীকে বলেন, ‘স্যার শব্দবাজির দাপটে তো প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা হচ্ছে।’ জবাবে ওই পুলিশকর্মী বললেন, ‘সবাই তো বাচ্চা। এদের কী আর বলব? উৎসবে এটুকু আনন্দ তো করবেই। সব জায়গায় কি আইন দেখানো উচিত?’ সুভাষ সরোবরের চারপাশে কাদাপাড়া রোড থেকে শুরু করে ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ চত্বরেও ফাটল দেদার শব্দবাজি। তবে লালবাজারের এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘বাজির দৌরাত্ম্য আটকাতে ব্যবস্থা চলছে। ছটপুজোও ব্যতিক্রম নয়।’