আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ছটপুজো। ইতিমধ্যেই এই পুজো উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মানুষজন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর ছটপুজোয় ব্যবহার করা যাবে না। তাই দুই সরোবরের দূষণ ঠেকাতে আজ, বুধবার থেকে সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ রাত ৮টার পর থেকে এই দুই সরোবরের সব ক’টি প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই দুই সরোবরের প্রবেশদ্বার আবার খুলবে ৮ নভেম্বর, শুক্রবার দুপুর ১২টায়। আজ থেকে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরের নিরাপত্তায় প্রায় ১৫০ পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করছে লালবাজার। একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে সব প্রবেশদ্বারে থাকছে বিশেষ পাহারা।
এই দুই সরোবরে আগে ছটপুজো উপলক্ষ্যে মানুষ ভিড় করতেন। কিন্তু তাতে দেখা যায় এই দুই সরোবরে মারাত্মক দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। তখন বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। আর তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে ছটপুজোর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। জলদূষণ ঠেকাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ এই দূষণের ফলে জলে থাকা মাছরা মরে যাচ্ছিল। রবীন্দ্র সরোবরের বদলে গল্ফগ্রিন, কসবা, যাদবপুর এলাকায় অস্থায়ী জলাশয়ে ছটপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু অনেকে চেষ্টা করেন রবীন্দ্র সরোবরের পিছন দিকের গেট টপকে ভিতরে ঢুকতে। তাই বাড়তি পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে চলতি মাসের শেষেই, কতদিন চলবে?
লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই চলতে হবে। তাই রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবর এবং শহরের মোট ৯টি জলাশয়ে ছটপুজো করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই প্রত্যেকটি জলাশয় পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে আজ থেকেই। তবে ছোট পুকুর, ঘাট, অস্থায়ী ঘাট মিলিয়ে ১০০টি জলাশয়ে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় থানা। ছটপুজো উপলক্ষ্যে শহরে মোট পাঁচ হাজার বাড়তি পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। আর নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট ঠেকাতেও তৎপর থাকছে পুলিশ। ঘাটে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের নানা রাস্তায় সামান্য সময়ের জন্য যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। যাতে মানুষের অসুবিধা না হয়। আবার পুজোও ভালভাবে মেটানো যায়। ছটপুজো দিতে যখন যাওয়া হয় তখন দেখা যায় ছোট লরি থেকে শব্দবাজি ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। এবার এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ, বুধবার বাজে কদমতলা ঘাট, তক্তাঘাট ছটপুজোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। একাধিক ঘাট পরিদর্শনে আজ যাওয়ার কথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের। সঙ্গে থাকবেন লালবাজারের কর্তারা।