করোনাভাইরাস গুজবে বেহাল দশা রাজ্যের পোল্ট্রি শিল্পের। মুরগির মাংস থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়াতে পারে এই গুজবে তলানিতে মাংসের চাহিদা। যার জেরে শীতের শেষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পোল্ট্রিমালিকরা। আরও করুণ দশা পাইকারদের।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গুজব ছড়ায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। যার জেরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুরগির মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে নদিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্তারা আশ্বস্ত করলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। উলটে নতুন করে গুজব ছড়িয়েছে নানা এলাকায়। যার জেরে তলানিতে ঠেকেছে মাংসের চাহিদা।
কলকাতা ও লাগোয়া অঞ্চলে যেখানে গোটা মুরগি কিলোপ্রতি বিক্রি হয় ১২০ টাকায়, সেই দর নেমে দাঁড়িয়েছে ৫০ – ৬০ টাকায়। পোলট্রি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ১ কিলোগ্রাম মুরগির মাংসে খরচই হয় ৬০ টাকা। চাহিদা কমায় লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে মুরগি। কাটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮০ – ১০০ টাকা কেজিতে।
শনি ও রবিবার গলা ফাটিয়েও ক্রেতা পাননি কলকাতা ও শহরতলির মুরগির মাংস বিক্রেতারা। চাহিদা না থাকায় সপ্তাহের শেষে অনেকে দোকানই খোলেননি। দোকানিদের কথায়, বাজারে অস্থিরতা না কাটলে মুরগি বিক্রি করা মুশকিল।
এই পরিস্থিতিতে ময়দানে নেমেছেন প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ‘মুরগির মাংস থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় এই কথায় কোনও সত্যতা নেই। মুরগির মাংস প্রোটিনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। তাই গুজবে কান না দিয়ে আগের মতোই মুরগির মাংস ও ডিম খাওয়া উচিত মানুষের।’