দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে ২ মহিলাকে তৃণমূলি অত্যাচারের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলি উপ প্রধান অমল সরকারকে রবিবারই সাসপেন্ড করে অস্বস্তি ঢাকার চেষ্টা করেছে দল। কিন্তু প্রধান বিচারপতির নির্দেশে তা আর হল কই?
সোমবার বিষয়টিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। এর পরই এবিষয়ে তদন্ত করে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট দিতে বলেন প্রধান বিচারপতি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যায় ২ মহিলাকে পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন ব্যক্তি। জানা যায়, নির্যাতিতাদের একজনের নাম স্মৃতিকণা দাস। তিনি গঙ্গারামপুরের নন্দনপুরের বাসিন্দা। অন্যজন তাঁর দিদি। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা স্মৃতিকণাদেবী এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত।
জানা যায়, তাঁর জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করছিল পঞ্চায়েত। ২৪ ফুট চওড়া ওই রাস্তা তৈরি হচ্ছিল নন্দনপুর থেকে হাপুনিয়া পর্যন্ত। স্মৃতিকণাদেবীর অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই চলছিল রাস্তার কাজ। এমনকী জমি অধিগ্রহণ নিয়েও তাঁর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের। এর পর জমি রক্ষা করতে ধরনায় বসেন স্মৃতিকণাদেবী ও তাঁর দিদি।
অভিযোগ, তাঁদের সেখান থেকে হঠাতে পৌঁছয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার। এর পর ২ মহিলার পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে তাদের ঘরে ঢোকায় অমল ও তার দলবল। তারা চলে যাওয়ার পর আহত স্মৃতিকণাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রাই। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে উপ-প্রধানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।