পার্ক সার্কাসে পুলিশকর্মীর এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা রিমা সিংহের। তার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মৃতার ভাইয়ের বায়োডাটা চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই তরুণীর পরিবারের আর্থিক সমস্যা ছিল। সে কথা জানার পরেই মৃতার ভাইকে চাকরি দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে তার বায়োডাটা চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিমার মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে রিমার পরিবারকে সমবেদনা জানান। সেই সঙ্গে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও রিমার বাবা বেশ অসুস্থ রয়েছেন। আগে তিনি একটি কারখানায় চাকরি করতেন। সেই কথা জানার পর তাকে বাড়ির কাছাকাছি দোকান ঘর করে দেওয়া হতে পারে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রিমার পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী সমবেদনা জানালেও মেয়েকে হারানোর শোক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি রিমার পরিবার। রিমার মা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এরকম কোনও মানুষকে পুলিশের চাকরি দেওয়া না হয়। মুখ্যমন্ত্রী রিমার মায়ের কথা শুনেছেন বলেই জানা গিয়েছে। রিমার মা বলেন, ‘দিদি ফোন করেছিলেন।তিনি জানিয়েছেন মেয়েকে তো আর ফেরাতে পারব না, তবে পাশে দাঁড়াব।’ পুলিশ কনস্টেবলকে দায়ী করে রিমার মা বলেন, ‘আজকে এরকম লোকের জন্য আমার সংসারটা ধ্বংস হয়ে গেল।’
উল্লেখ্য, গতকাল পুলিশ কনস্টেবল চুডুপ লেপচার গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল রিমা সিংহের। এরপর ওই পুলিশ কনস্টেবল নিজেও আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এখনও রিমার মৃতদেহ হাতে পায়নি পরিবার। ময়নাতদন্ত শেষ হলে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।