রাজ্য বাজেটেই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সোমবার নবান্নে ‘মা’ প্রকল্পের ভার্চুয়াল সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে গরিবদের ৫ টাকায় ভাত–ডাল, ডিম ও সবজির তরকারি দেওয়া হবে। আপাতত কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ১৬টি বরোয় শুরু হল এই প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত চালু হল। পরে গোটা রাজ্যেই শুরু হয়ে যাবে।’
সোমবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওয়েবল মোড়ে চারটি আইটি পার্কের উদ্বোধন করেন। এরপর শ্রী শ্রী পূর্ণব্রহ্ম গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তি উন্মোচন করেন। চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালে ‘মাতৃ মা’ ভবনও উদ্বোধন করেন। আর এরপরই ‘মায়ের রান্নাঘর’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহরের ওয়ার্ডগুলিতে প্রতি ৫০০ জন মানুষ দৈনিক এই পরিষেবা পাবেন। সব কটি ওয়ার্ড মিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ৫ টাকায় ২০০ গ্রাম ডাল, ভাত, তরকারি ও ডিম পাবেন। প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত এই প্রকল্প চালু থাকবে। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে সরকার। বহু গরিব মানুষ বাইরে কাজ করেন ঘরে খাওয়ার সুযোগ হয় না। তাঁদের জন্য মায়ের নামে প্রকল্প চালু করছি। বিভিন্ন জায়গায় চালু হবে মা প্রকল্প। পরিচালনা করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কলকাতা ছাড়াও বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার ও হাওড়াতেও ‘মা’ প্রকল্পের কাজকর্ম ভার্চুয়াল মাধ্যমে খতিয়ে দেখেন মমতা।
সরকার ভর্তুকি দেবে প্লেট পিছু ১৫ টাকা। দুপুর ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত দেওয়া হবে খাবার। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এটা নজিরবিহীন প্রকল্প। প্রথমে কিছু সমস্যা হবে। খাবার ফুরিয়ে যেতে পারে। পরে চাহিদা দেখে বন্দোবস্ত করা হবে। বাজেটে ঘোষণার পর ৭–৮ দিনেই চালু করেছি। প্রকল্পের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি।’ গোটা ব্যবস্থাপনা দেখে খুশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু একদিন খেতে যাব। এটা বাংলা মা–বোন–ভাইদের উৎসর্গ করলাম।’