মঙ্গলবার মাঝরাতে বেহালার চড়কতলায় গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে সাত রাউন্ড গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। পুলিশের সামনেই দু’পক্ষের ইট বৃষ্টি থেকে গুলি চলেছিল বলেও অভিযোগ উঠে। এবার এই চড়কতলার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তিনি যে উদ্বিগ্ন তা ফোন করে জানিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে।
এখানে মেলার কমিটির দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়েই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি গাড়ি, মোটরবাইক, স্কুটি–সহ একাধিক গাড়িতে চলেছিল ভাঙচুর। ভাঙচুর চালানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসেও। কলকাতা পুরসভার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তানা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় তৃণমূল যুব সভাপতি বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। লালটু নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই বাপনের ঝামেলা ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে তৃণমূল যুব নেতা বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলার স্বর শোনা যায়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘১০ দিনে ১২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২০ লাখ টাকা তুলেছি। ওরা ২ টাকা তুলুক না।’ যদিও এই অডিয়ো যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ নয়, দুটো পাড়ার ঘটনা।’ এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন সেকথা বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ই বলেছিলেন। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। এখন অধরা মূল অভিযুক্ত। অথচ ঘটনার দু’দিন কেটে গিয়েছে। তাই পরিস্থিতি বিচার করে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।