একদিনে রাজ্যের দুই জেলায় দু'জন কাউন্সিলর খুন হওয়ার পরেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে সোমবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা), এডিজি’র (সিআইডি) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তারপরেই এ নিয়ে আজ সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের পাশাপাশি সমস্ত শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা রাজ্যে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেই কারণেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনওভাবে অবনতি না হয়, সেজন্য সমস্ত শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে খবর, শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশকে চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে। কেউ গোলমাল তৈরি চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে কোনও রাজনৈতিক ভেদাভেদ থাকবে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন দুই কাউন্সিলর খুন হওয়ার পরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে পুলিশকে এরকম নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তারপরেই সোমবার পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তার ঠিক পরেই খুন হয়েছিলেন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলরের খুনের ঘটনায় আজ বনধ ডেকেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান খুনে তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।