শুক্রবার নিউটাউনের আদর্শপল্লীতে মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় তাঁর দু’দিনের কর্মসূচি ঘিরে রয়েছে আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনোর প্রয়াস। কিন্তু তাঁর দু’দিন আগেই বুধবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও লোকশিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মতুয়া–সহ তফশিলি, নমঃশূদ্র, মাঝি, বাগদি, বাউড়ি, ডোকরা— বিভিন্ন জাতির প্রতিনিধির নানা সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগেই তিনি নমঃশূদ্র উন্নয়ন পর্ষদের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁদের উন্নয়নের জন্য ওই পর্ষদকে ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এবার তিনি মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ তৈরির কথা ঘোষণা করলেন। মতুয়াদের অগ্রগতির জন্য এই নতুন ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে রাজ্য সরকার দেবে ১০ কোটি টাকা।
পাশাপাশি, বাউড়ি ও দুলেদের নিয়ে একটি উন্নয়ন পর্ষদ এবং বাগদি ও মাঝি সম্প্রদায়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য ভিন্ন দুটি পর্ষদ গঠন করার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি পর্ষদ বা ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে দেওয়া হবে ৫ কোটি টাকা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিজেপি–কে আক্রমণ করে বলেন, ‘এই সব সম্প্রদায়ের কথা কেউ আগে চিন্তা করেনি। ভোটের সময় সব বড় বড় কথা বলে। আমি চাই, যে সব জাতি ও সম্প্রদায়ের লোকজন পিছিয়ে পড়ে আছেন তাঁদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক বোর্ড তৈরি করে দেওয়া হোক। যাতে তাঁরা নিজেদের অতীতটা ভুলে না যায়।’
এদিন ডোকরা শিল্পীদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডোকরা ও ছৌ শিল্পীদের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় আনার কথাও তিনি বলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার থেকে দিল্লি এইমস আর ভেলোরে সিএমসি–তেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি পুরুলিয়ায় ছৌ শিল্পীদের জন্য একটি কমিউনিটি হল তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।