পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনবেন এখানকার বিজেপি কর্মীরাই। আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলারই কোনও ভূমিপুত্র। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে এক বেসরকারি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। সঙ্গে তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
এদিন শাহ বলেন, ‘আমি মমতা দিদিকে বলতে চাই। তাঁকে হারাবেন এখানকার বিজেপি কর্মীরাই। তার পর মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলারই কোনও ভূমিপুত্র।’ পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তাই এদিনও শাহের মুখে পশ্চিমবঙ্গে শাসনভার নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান শোনা যায়। বিজেপির তরফে আগেই জানানো হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবে দলীয় নেতৃত্ব।
তবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে জনমানসে রয়েছে নানা জল্পনা। আলোচনায় রয়েছে রাজ্যের এক খ্যাতনামা ক্রিকেটার, রাজ্য সভার এক সাংসদ, একজন কেন্দ্রী মন্ত্রী, এক দক্ষিণপন্থী ভাবধারার সংগঠন ও রামকৃষ্ণমিশনের এক সন্ন্যাসীর নাম। তবে এব্যাপারে মুখ খোলেননি কেউই।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। এমনকী তাদের চম্বলের ডাকাত বলতেও ছাড়েননি তিনি। এব্যাপারে শাহ বলেন, ‘হয়তো তৃণমূলের আর কিছু বলার নেই। তাই এসব কথা বলছেন’। সঙ্গে তিনি জানান কেরল, গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি কর্মীরাও বাঙালিয়ানাকে সম্মান করে।
সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন অবশ্যকর্তব্যে পরিণত হয়েছে। হিংসা ছড়ানো, ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করার মতো অনেক কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বরাদ্দ তিনি পশ্চিমবঙ্গের গরিব কৃষকের কাছে পৌঁছতে দেবেন না।’
শাহের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য ২০০ আসন পাবে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মীর একটা দল ইস্তেহার নিয়ে কাজ করছেন। সেখানে জেলা ও গ্রামের সমস্যাগুলি জায়গা পাবে। তাছাড়া আগামী ৫ বছরে বাংলার উন্নয়নের একটা রূপরেখাও আমরা তাতে তুলে ধরবো।’