গ্রামের রাস্তায় প্রায়ই ভারী পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। এর ফলে যেমন রাস্তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় তেমনি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। এই অবস্থায় গ্রামীণ রাস্তায় ভারী পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল রাজ্য। মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ মঙ্গলবার সব জেলা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে গ্রামীণ রাস্তায় ওভারলোডিং গাড়ি আটকাতে কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন: ওভারলোড করা ট্রাক ধরা পড়লেই বাতিল হবে পারমিট, ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় জাতীয় বা রাজ্য সড়কে চেকিং এড়িয়ে যেতে গ্রামীণ সড়কের মধ্য দিয়ে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে। বিশেষ করে বালি, পাথর, কয়লা বোঝায় গাড়ি এভাবেই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে চেকিং এড়িয়ে থাকেন চালকরা। আর এই সমস্ত গাড়িগুলির অধিকাংশই থাকে ওভারলোডিং। যার ফলে রাস্তা দ্রুত বেহাল হয়ে যায়।
এরকমভাবে ওভারলোডিং গাড়ি যাতায়াতের ফলে বেশ কিছু জেলার পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি গ্রামীণ রাস্তা মেরামতের কিছুদিন পরেই বেহাল হয়ে পড়েছে। এ ধরনের একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে নবান্নে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম প্রভৃতি জেলা থেকে সবচেয়ে অভিযোগ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। এই নিয়ে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই মুখ্যসচিবকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন তিনি। বৈঠকে মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের প্রশ্ন করেন, গ্রামের রাস্তায় ওভারলোডেড গাড়ি আটকানো যাচ্ছে না কেন?
এদিন বৈঠক চলে কয়েকঘণ্টা ধরে। বৈঠকে জেলাশাসকদের পাশপাশি একাধিক দফতরের সচিবও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যসচিবের মতে, বেআইনি বালি, পাথর খাদানের জন্যই এভাবে এভাবে ওভারলোডেড গাড়ি যাতায়াত করছে। এই ওভারলোডিং বন্ধ করতে গেলে বেআইনি বালি, পাথর খাদান বন্ধ করতে হবে। এর পাশাপাশি অবৈধ খাদান নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার কথাও জানান মুখ্যসচিব। সেবিষয়ে তিনি জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে রাস্তা পরিদর্শন করতে হবে। তারপর কোন কোন জায়গা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তায় গাড়ি ঢুকছে সেগুলি চিহ্নিত করতে হবে। এর পাশাপাশি আবাস যোজনা নিয়েও তিনি একাধিক অভিযোগের কথা জানান জেলাশাসকদের। মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন গ্রামীণ সড়ক থেকে শুরু করে আবাসের যেসব অভিযোগ রয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কোনওভাবেই অভিযোগ ফেলে রাখা যাবে না। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।