লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ঘোষণা হতেই অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্যের মহিলারা। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসতেই, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য ক্যাম্পে ক্যাম্পে আছড়ে পড়েছে মহিলাদের ভিড়। ফলে, চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের একাধিক ক্যাম্পে। ইতিমধ্যেই পদপিষ্ট হওয়ার মতো গুরুতর ঘটনাও ঘটে গিয়েছে মালদহে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য প্রশাসন।
এবার এই পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না-যায়, সেই উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ভিড় এড়াতে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে এবার বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই বৈঠকেই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলোতে ভিড় এড়ানোর জন্য নয়া টোটকা বাতলে দিয়েছেন তিনি।
যেহেতু এইবারে লক্ষীর ভান্ডারের জন্য প্রচুর ভিড় হচ্ছে, সে কারণে এই আবেদনপত্র বুথভিত্তিক করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন জেলাশাসকদের।
বুধবারের এই বৈঠকে মুখ্য সচিব পরামর্শ দিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও পূরণ করে জমা দেওয়ার জন্য বুথভিত্তিক আবেদনপত্র বিলি করা যায় কি না, তা যেন জেলাশাসকরা খতিয়ে দেখেন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্য সচিবের সঙ্গে জেলাশাসকদের এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আধ ঘন্টা ধরে বৈঠক হয়।সেখানেই তিনি জেলাশাসকদের স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ কোনওভাবে ক্যাম্পগুলোতে ভিড় করা যাবে না। প্রয়োজনে আপনারা বুধভিত্তিক আবেদনপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিন। প্রয়োজনে প্রচার করুন। তাহলে ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।’ পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় ক্যাম্পগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কি ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, সেই সম্পর্কে জেলাশাসকদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্যও জেনে নেন মুখ্যসচিব।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হওয়ার পর থেকে ভিড় সামলাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তার উপর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য জেলার বিভিন্ন ক্যাম্প জনজোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। সে কারণে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে ক্যাম্পগুলোতে। দুর্ভোগে পড়েছেন উপভোক্তারা।
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছেন যে, করোনা বিধি লাগু রয়েছে। তাই দুয়ারে সরকার শিবিরগুলোতে বেশি ভিড় করবেন না। এছাড়াও হাতে একমাস সময় রয়েছে। এই ক্যাম্পগুলো ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রয়োজনের আরও ৩-৪ দিন মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।