বিজয়া দশমীর দিন জলপাইগুড়ির মাল নদীতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। হড়পা বানে প্রাণ হারিয়েছেন আটজন মানুষ। এবার ডেঙ্গি এবং দুয়ারে সরকার নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মাল নদীতে হরপা বানের প্রসঙ্গ উঠে এল। এমনকী সেই প্রসঙ্গ তুলে সেচ দফতরের আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলে সূত্রের খবর। আর তারপরেই কালীপুজো এবং ছটপুজো নিয়ে সতর্কতার নির্দেশ দেন তিনি বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব? নবান্ন সূত্রে খবর, কালীপুজো এবং ছটপুজোয় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। তখনই উঠে আসে জলপাইগুড়িতে মাল নদীর ঘটনার কথা। আর সেচ দফতরের আধিকারিকদের তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী কালীপুজোর বিসর্জনে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য এখন থেকে সমস্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? আগামী ১৭ অক্টোবর জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি দেখা করবেন হড়পা বানে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন তিনি। আর তাঁর সফর নিয়ে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা সেরেছেন মুখ্যসচিব। তবে এই বৈঠকে জেলা প্রশাসনকেও দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। পুলিশও এবার বাড়তি সতর্কতা নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অপহরণ ও নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগগুলির আরও গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দেন ডিজি। কালী, জগদ্ধাত্রী বিসর্জন এবং ছটপুজোয় সমস্ত ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী নিয়োগ করতে বলেছেন মনোজ মালব্য।