প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে আটজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমনকী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে নবান্ন। আর তার জেরেই বিশেষভাবে সক্রিয় পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। আজ, বৃহস্পতিবার ঘাটগুলিকে নিরাপত্তায় বিশেষভাবে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এমনকী ঘাটগুলিকে বিশেষভাবে নিরাপত্তায় জোর দিতে বিশেষ নির্দেশ জেলাশাসকদের দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে বিভিন্ন ঘাটে। তাই জেলার জেলাশাসকদের সরাসরি মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, বিসর্জন চলাকালীন ঘাটগুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিসর্জন চলাকালীন কোন মৃত্যু বা তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কী বলা আছে নির্দেশিকায়? নবান্ন সূত্রে খবর, জেলাশাসকদের ঘাটগুলি পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার একাধিক মহকুমাশাসকদেরও প্রয়োজনে ঘাটগুলি পরিদর্শন করতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। বিসর্জন চলাকালীন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও থাকতে হবে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ির মাল নদীতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তাতে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। আর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা বলেছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। আর কোনও নিখোঁজ নেই বলেও ট্যুইট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ১৩ জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ঘটনায় চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। নম্বরগুলি হল— ০৩৫৬১২৩০৭৮০, ৯০৭৩৯৩৬৮১৫। জলপাইগুড়ি জেলায় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।