কেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না। যার জন্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। প্রথম থেকেই ৯৬টি সেন্টারে রোজ পাওয়া যাচ্ছিল কোভিশিল্ড টিকা। বাকি ৪৪টি সেন্টারে দেওয়া হতো কোভ্যাকসিন। এই নিয়মে এবার বদল আনল রাজ্য। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সপ্তাহে মাত্র ১ দিন (সোমবার) কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। আর ৯৬টি সেন্টার থেকেই পাওয়া যাবে কোভিশিল্ড।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার বাজার বিক্রেতা, হকার, ট্রান্সপোর্ট, ট্রান্সজেন্ডারদের কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। বুধবার একটা দিন বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হবে। এই বাচ্চাদের টিকা দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হবে। টিকায় কোনও পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কিনা? টিকায় জ্বর আসে কিনা? ব্যথ্যা হয় কিনা? নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বুধবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান, কয়েকদিন ধরে বেশকিছু সেন্টারে টিকা পড়ে নষ্ট হচ্ছিল। যদি ২০টি ভয়েল খোলা হয়ে থাকে তাহলে মানুষ আসছিল ১০ জন। সেক্ষেত্রে বাকি ১০টি ভয়েল পড়ে নষ্ট হচ্ছিল। তাই এই সমস্যা থেকে বেরোতে একটি দিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হল। এতে ভ্যাকসিন নষ্ট কম হবে।