বাগুইআটিতে ২ কিশোরকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় বাগুইআটি থানার ওসিকে ক্লোজ করল রাজ্য প্রশাসন। এছাড়া এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার বাগুইআটিতে ২ কিশোররে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। প্রশ্ন ওঠে, কেন ১২ দিন ধরে বসিরহাট পুলিশ মর্গে অতনু দে ও অভিষেক নস্করের দেহ পড়ে থাকলেও তা কেন জানতে পারেননি বাগুইআটি থানার আধিকারিকরা। এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি করে নিহত ২ কিশোরের পরিবার।
বিন্দুমাত্র ভয় নেই শরীরে! যশের সঙ্গে ডেঞ্জার জোনে নুসরত, দেখলেই গায়ে কাঁটা দেবে
বুধবার সকালে এই ঘটনা নিয়ে সক্রিয় হয় রাজ্য প্রশাসন। বাগুইআটি থানার কাছে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। এর পরই জানা যায়, বাগুইআটি থানার ওসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তরিত করেছে রাজ্য সরকার।
পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন নিহত অভিষেক নস্করের বাবা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের মিখ্যে কথা বলেছে। ভুল পথে চালিত করেছে। আমাদের দিনের পর দিন থানায় বসিয়ে রেখেছে। অথচ দেহ পড়ে ছিল বসিরহাট মর্গে।’
এদিন এই ঘটনা নিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। কেউ ছাড় পাবে না, ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’