তাঁকে ও শুভেন্দু অধিকারীকে খুন করতে রাশিয়া থেকে চোরা পথে বিষাক্ত রাসায়নিক আমদানি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সিআইডির কাছে হাজিরা দিতে যাওয়ার আগে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার আদালতের রক্ষাকবচ নিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় সিআইডির সামনে হাজিরা দেন তিনি। অর্জুনের অভিযোগে তোলপাড় পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন - জেনারেটারে চুল জড়িয়ে ভয়াবহ মৃত্যু গৃহবধূর, জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় যা ঘটল
পড়তে থাকুন - ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব, খারাপভাবে স্পর্শ, কাঠগড়ায় শিক্ষক
এদিন সিআইডি দফতরে যাওয়ার আগে অর্জুন সিং বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি যে শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংকে যখন এরা আটকাতে পারছে না তখন মেরে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। এমন কেমিক্যাল স্মাগল করে আনা হয়েছে রাশিয়া থেকে এদের মাধ্যমে যাতে আমাদেরকে কোনও ভাবে ইনভেস্টিগেশনের নামে ডেকে…’
অর্জুন সিংয়ের দাবি, ‘এই কেমিক্যালটা হল বিষ একরম। আজকে আপনার শরীরে শুধু টাচ হয়ে যাবে… ধরুন আপনাকে কোনও চেয়ারে বসাল বা টেবিলে হাত পড়ল ওখানে কেমিক্যালটা লাগানো থাকলে আপনার শরীরে টাচ হয়ে গেলে তাহলে ৩ – ৬ মাসের মধ্যে আপনার মাল্টি অর্গান ফেলয়িওর হবে। আপনি মারা যাবেন। শুভেন্দু অধিকারী, আমিসহ আরও ৪ জন আছে। আমাদের মেরে দিতে একটা ক্রিয়েটিভ চক্রান্ত চলছে। চার বছর পরে হঠাৎ আবার আমরা দোষী হয়ে গেলাম? এরকম হতে পারে না।’
আরও পড়ুন - প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ল সঞ্জয়, বেপরোয়া আরজি কর কাণ্ডের সিভিক
বলে রাখি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুপ্তহত্যার অভিযোগ নতুন নয়। সাম্প্রতিককালেও ভ্লাদেমির পুতিনের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাদেরই দেশের প্রাক্তন গোয়েন্দাকর্তাকে গোপনে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আলেকজান্ডার লিৎভেনেনকো নামে রুশ ও গোয়েন্দা আধিকারিক পুতিনের প্রবল বিরোধী ছিলেন। পুতিন প্রশাসনের একাধিক কেলেঙ্কারি ফাঁস করে ২০০০ সালে দেশ ছেড়ে ব্রিটেনে আশ্রয় নেন তিনি। অভিযোগ, ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে ব্রিটেনে গিয়ে পোলোনিয়াম ২১০ নামে একটি অতিতেজষ্ক্রিয় মৌল গোপনে লিৎভেনেনকোর শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা KGB. পোলোনিয়াম ২১০এর তেজষ্ক্রিয়তার জেরে ২২ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় তাঁর।