কয়লা পাচার মামলায় প্রচণ্ড তৎপর হয়ে উঠল রাজ্য প্রশাসন। ২০১৯–২০২১ সাল পর্যন্ত খনি এলাকার তিন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোট ১০ অফিসারকে জেরা করতে তলব করল সিআইডি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জেরা পর্ব। সূত্রের খবর, কোলিয়ারি বেল্টের একাধিক থানায় কর্মরত ছিলেন এমন সব পুলিশ কর্তাদের ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে। কয়লা পাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। তার মধ্যে এই সক্রিয়তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সিআইডি সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই কয়লা পাচার মামলায় বারিক বিশ্বাস–সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এবার এই মামলায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চলেছেন রাজ্যের তদন্তকারীরা। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুরুলিয়া অঞ্চলের একাধিক থানার ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর পদের পুলিশ আধিকারিকদের ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা কী ছিল সেটাও খতিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারীরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার তিনজনকে ও শনিবার চার পুলিশ আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে ভবানীভবনে। পুলিশ আধিকারিকরা যখন কোলিয়ারি অঞ্চলের বিভিন্ন থানাতে কর্মরত ছিলেন তখন কয়লা পাচার নিয়ে তাদের কাছে কোন অভিযোগ এসেছিল কিনা তা জানতে চাইবেন সিআইডি কর্তারা বলে সূত্রের খবর। আসানসোলের খনি অঞ্চলের তিন থানার ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর–সহ মোট ১০ জনকে তলব করেছে সিআইডি।
সিআইডি ঠিক কী জানতে চাইছে? সিআইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার তদন্তে থানার নীচুস্তরের কোন পুলিশ কর্মীদের যোগ ছিল কিনা সেটাও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই পাচার চক্রের মূল চক্রীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য তারা জানতেন কিনা সেই প্রশ্নও করা হবে। ইতিমধ্যেই সরকারি অফিসারদের সম্পত্তির খতিয়ান জানাতে ইন্টারনাল অর্ডার জারি করেছে নবান্ন।