শীতলকুচির ঘটনায় ভবানীভবনে শুক্রবার সকালে ভবানীভবনে যান তত্কালীন পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধর। প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে বেশ কিছুক্ষণ নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, প্রাক্তন পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কার নির্দেশে গুলি চালানো হয়েছিল সেদিন? গুলি চালানোর সময় তিনি কোথায় ছিলেন? গুলি চালানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তিনি কী জানতেন? এই সমস্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
সিআইডি সূত্রে খবর, এই জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সহযোগিতা করলেও সমস্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। তাই এই ঘটনা থেকে তাঁকে এখনই অব্যাহতি দেওয়া যাচ্ছে না। বহু নথির সঙ্গে পুলিশ অফিসারের দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায়নি। শীতলকুচি কাণ্ডে দুই অফিসার–সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানের সঙ্গে মাথাভাঙা থানার সাব ইনস্পেক্টরকেও তলব করে সিআইডি। কারণ এই সাব ইনস্পেক্টর মোবাইল ভ্যানের দায়িত্বে ছিলেন। গুলিচালনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণের পরই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিট তদন্তে নেমে দুই অফিসার–সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানকে তলব করে। এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানানো হয়। আবেদন নাকচ করে দেয় সিআইডি। দুই সিআইএসএফ অফিসার–সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জনকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট–চতুর্থীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই ৬ জন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের দায়িত্বে ছিলেন। যেখানে গুলি চলেছিল এবং চারজন মারা গিয়েছিল।