শীতলকুচিতে গুলি চালনারঘটনায় এবার সিআইডির নজরে সদ্য প্রাক্তন পুলিশ সুপার। কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে তলব করল সিআইডি। সোমবারই মাথাভাঙা থানার আইসিকে টানা সাত ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করে সিআইডি। সূত্রের খবর, জেরায় উঠে আসে দেবাশিস ধরের নাম। এরপরই তাঁকে তলব করেছে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তের স্বার্থেই কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হয়েছে। ঘটনার দিনে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সেই ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তদন্তকারী অফিসাররা। একইসঙ্গে পুলিশ সুপারকে নোটিস পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে সিটও।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই অফিসার-সহ মোট ৬ জওয়ানকেও তলব করেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিনে কী কারণে গুলি চালানো হয়েছিল, তা জানতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলকুচিতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয় কোচবিহারের পুলিশ সুপারকেও।এর পর সিট গঠন করে তদন্তে নেমে ২ অফিসার-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানের সঙ্গে মাথাভাঙার সাব ইন্সপেক্টরকেও তলব করেছিল সিআইডি। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তরফে করোনা আবহে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে দেয় সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দলে ছিলেন সিআইএসএফের এক ডেপুটি কমান্ড্যান্ট, একজন ইন্সপেক্টর পদ পর্যাদার অফিসার ও বাকি চারজন কন্সটেবল। এছাড়াও মাথাভাঙা থানার আইসিকেও তলব করা হয়েছিল। এবার সেই তালিয়ায় যোগ হল কোচবিহারের সদ্য প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরের নাম।