গরুপাচার মামলায় এবার এনামুল হককে জেরা করতে নয়াদিল্লি পৌঁছল সিআইডি’র টিম। আগামীকাল, শুক্রবার এনামুলকে জেরার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছে সমস্ত নথি প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল গরুপাচারের কিংপিং এনামুল হক। এখন তিহাড় জেলে বন্দি এনামুল। এমনকী গরুপাচারে অভিযুক্ত এনামুলের তিন ভাগ্নেও। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিআইডি। কিন্তু ওই তিনজনই এখন পলাতক। ফলে এনামুলকে জেরা করেই গোটা ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সিআইডি।
গরুপাচার মামলা এখন রাজ্য–রাজনীতিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বীরভূম থেকে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে এনামুলের কোনও সম্পর্ক ছিল কি? জানতে এনামুল হককে জেরা করতে নয়াদিল্লি পৌঁছল সিআইডি। সিআইডি’র দাবি, গরুপাচারে মূল ষড়যন্ত্রী এনামুল হক। তাকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে করছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। তাছাড়া এই গোটা পাচারচক্রে আর কারা ছিল? সেটাও জানতে চায় সিআইডি।
এদিকে সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় সিবিআই তদন্তে নেমে হাতে পেয়েছে ইলামবাজারের গরু হাটের কথা। এখানে গরু আসা এবং বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাওয়া—গোটা চক্রটির হদিশ করতে চাইছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য অফিসারদের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকে এনামুলের নাম পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে জেরা করতে চায় সিআইডি’র টিম। আবার এখন অনুব্রত মণ্ডলকে নযাদিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। এখানে ইডি ঢুকে পড়ায় আর্থিক বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, ইলামবাজারের গরু–হাটে ব্যাপক টাকার লেনদেন হতো। যা এই পাচারকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। কারণ এখানে হাজার হাজার গবাদি পশুর কেনাবেচা হয়। সেখান থেকেই পাচার হয় গরু। আর হাতে আসে নগদ টাকা। সেই টাকা ঘুরপথে চলে যেত এনামুলের কাছে। একেক দিনে কোটি কোটি টাকার কারবার হয়। তাই সেই টাকা এখান থেকে অনেকের কাছেই যেত। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের শেষ সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আবদুল লতিফের নাম আছে। এবার বিষয়টি নিয়ে মাঠে নাম সিআইডি।