ডিসেম্বর মাসই বছরের শেষ মাস। আর ২৬ দিন পরই শেষ হয়ে যাবে মাস। শুরু হবে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৫। এই আবহে কল্লোলিনী কলকাতার মুকুটে নয়া পালক যোগ হল। যা প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। গোটা দেশের মধ্যে শহর কলকাতা বিজ্ঞানমনস্কতায় শীর্ষে। এই তথ্য উঠে এসেছে নেচার ইনডেক্সে। যা এককথায় অনবদ্য। কলকাতা শহরকে বারবার শীর্ষে নিয়ে যেতে নানা পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তারপরই এই তকমা মিলল। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানমনষ্কায় বিশ্বের নিরিখে এই মহানগরী কলকাতা ৮৪তম স্থানে। এবার এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করে সুখবর দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
কলকাতা শহর আগে বহু তকমা পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় নিরাপদ শহর থেকে শুরু করে সুন্দর শহরের তকমা পেয়েছে। বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রকল্প কন্যাশ্রী বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে খোদ দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বীকৃতি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থেকে। এমনকী গ্রামোন্নয়ন, পঞ্চায়েত–সহ নানা কাজের ক্ষেত্রে স্বীকৃতি আগেই মিলেছে। এবার দেশের মধ্যে সেরা বিজ্ঞানমনস্ক শহরের তকমা পেল কলকাতা।
এই খবর প্রকাশ্যে আসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট থেকে। সেখানে ব্রাত্য় বসু লিখেছেন, ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে উন্নতিতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার প্রচেষ্টা করে গিয়েছেন। তার জেরেই নিজের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিজ্ঞান চর্চা এবং গবেষণা বাংলার ঐতিহ্য আরও একবার স্বীকৃতি পেল। কলকাতাকে শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানমনষ্ক শহর হিসেবে ঘোষণা করল বিশ্বের অন্যতম সেরা জার্নাল নেচার।’ এই খবর পোস্ট করতেই শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: গল্ফগ্রিন থানার ওসিকে ক্লোজ করল লালবাজার, শহরের বুকে কোন কারণে বড় পদক্ষেপ?
সামনে বড়দিন। তার আগে এই স্বীকৃতি শীতের আমেজে খুশির হাওয়া বয়ে নিয়ে এসেছে। এই তথ্য এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহানগরী কলকাতায় এখন অনেক অনুষ্ঠান বা পার্বণ হয়ে থাকে। তার উপর নানারকম সাজে সেজে উঠেছে কলকাতা। এখানে সব ধর্মের উপাসনা হয় নির্বিঘ্নে। কলকাতা পুরসভা শহরকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়ে থাকে। তার সঙ্গে এবার এমন স্বীকৃতি বাংলার মানুষের হৃদয় স্পর্শ করল। আর গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক প্রকাশনীর নিরিখে প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষে চিনের বেজিং। আবার দ্বিতীয় স্থানে চিনেরই আর এক শহর সাংহাই। প্রথম দশে স্থান পেয়েছে চিনের আরও বেশ কয়েকটি শহর। তবে বিশ্বের মধ্যে।