কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়াররা আর ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে পারবেন না। লালবাজারে ট্রাফিক কর্তাদের বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লালবাজারের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ব্যস্ত সময়ে অপ্রয়োজনীয় নির্দেশ আসা বা নির্দেশ না মানার অভিযোগ কমবে। একই সঙ্গে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে যে অতিরিক্ত ওয়াকিটকি রয়েছে সেগুলি লালবাজারে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত যান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ছাড়াও কনস্টেবল, হোম গার্ড এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু লালবাজারের তরফ থেকে নির্দেশ আসার পরেই আপাতত বিভিন্ন ট্রাফিক গার্ডে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ওয়াকিটকি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে সাধারণত শহরের কম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বা ছোট রাস্তাগুলিতে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ওয়াকিটকি দেওয়া হত। তারা যান চলাচলের বিভিন্ন খবর দিতেন এবং সেই বার্তা শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু, এর ফলে সমস্যা হচ্ছিল। বিশেষ করে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কোনও ট্রাফিক অফিসারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তার মধ্যে আচমকায় গুরুত্বহীন বার্তা ঢুকে পড়তো। এর ফলে ভিআইপিদের যাতায়াতের সমস্যার সময় এই সমস্যাটা আরও বেশি হচ্ছিল। সেই কারণে ওয়াকিটকি ব্যবহারের সংখ্যা কমাতে চাইছে লালবাজার।
এক ট্রাফিক আধিকারিকের কথায়, শহর জুড়ে এখন স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ট্রাফিক সংক্রান্ত বার্তা সেভাবে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। ফলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাছে ওয়াকিটকি রাখার প্রয়োজনীয়তা অনেক কম। তারা ওয়াকিটকি ব্যবহার করলে অপ্রয়োজনীয় বার্তা আসাও বন্ধ করবে। যদিও পুলিশের একাংশের মতে, এমনিতেই বিভিন্ন ট্রাফিক গার্ডে কনস্টেবলের সংখ্যা কম রয়েছে। তাদের জায়গায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজে লাগানো হয়। এই অবস্থায় তারা যদি ওয়াকিটকি ব্যবহার না করে সে ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা হলেও ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা।