আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। এবার সেই অভিযোগ অনুরণিত হল সুপ্রিম কোর্টেও। সোমবারের শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানালেন, ইচ্ছা করলেই সিভিক ভলান্টিয়াররা হাসপাতালে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন না।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডের একমাস পর এখনও ধৃত সঞ্জয়ই মূল অভিযুক্ত! কীভাবে এগিয়েছে CBI?
পড়তে থাকুন - 'টাকার কথা বলিনি' মিথ্যেবাদী মুখ্য়মন্ত্রী, মমতার ভিডিয়োতে প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু
এদিন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘সিআরপিএফ পরিচয়পত্র না দেখেই সবাইকে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকতে দিচ্ছে। তাদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়াররাও রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ১ লক্ষের বেশি সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে। অভিযুক্তও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাদের যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের কোনও পরিচয়পত্র নেই।’
এর পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ যেন ইচ্ছা করলেই এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়তে না পারে। তাহলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কী ভাবে নিশ্চিত হবে? কারা এমারজেন্সি ওয়ার্ডে যেতে পারবে সেটা CISFকে নিশ্চিত করতে হবে। কোনও একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গোটা এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াতে দেওয়া যাবে না। কারণ সেখানে চিকিৎসকরা কর্তব্যরত রয়েছেন। CISFকে বলুন যে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
সলিসিটর জেনারেল প্রধান বিচারপতিকে আশ্বস্ত করে বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ করছে CISF.
আরও পড়ুন - রায় নয়, সঞ্জয় রাই; RG করের অভিযুক্ত আদতে বিহারের লোক, দাবি মমতার, ‘হাওড়ারও…’
বলে রাখি, আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। গত ৮ অগাস্ট রাতের ঘটনার পর বিধাননগরে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।