ত্রাণ বিলি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেলঘরিয়া থানা এলাকার কামারহাটি এলাকা। অভিযোগ, ত্রাণ বিলির উদ্যোদ নেওয়ায় স্থানীয় এক যুবককে মারধর করেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পালটা আজ কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। ভাঙচুর চলে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক যুবককে। গন্ডগোলে জড়ি থাকায় কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিলি করছিলেন স্থানীয় কিছু যুবক। অভিযোগ, সেই সময় সেখানে অনুগামীদের নিয়ে হামলা চালান তৃণমূল কাউন্সিলর রূপালি সরকার। তাঁর দাবি, কাউন্সিলর ছাড়া কারও ত্রাণ বিলির অধিকার নেই। এর পরই যুবকদের মারধর শুরু করে কাউন্সিলরের দলবল। মারের চোটে গুরুতর আঘাত পান সৌমেন দাস নামে এক যুবক। তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। যুবকের ঘটনা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দেন সৌমেনের আত্মীয়-বন্ধুরা। কাউন্সিলরের বাড়ি ও এলাকার একটি তৃণমূল পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ পৌঁছলে তাদের লক্ষ করেই ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে বারাকপুরের পুলিশ সুপার মনোজ ভার্মাকে বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
মঙ্গলবার বিকেলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছে RAF. ঘটনায় অভিযুক্ত কাউন্সিলরের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংঘর্ষে জড়িত থাকায় এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলশ।