ফের প্রকাশ্যে বিজেপি–র অন্তর্দ্বন্দ্ব। যুব মোর্চার জেলা সভাপতি নির্বাচনের পর এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে রাজ্য কমিটি ঘোষণা নিয়ে। আর তাতেই রাজ্য রাজনীতি মহলে ফের চর্চায় উঠে এসেছে দিলীপ ঘোষ–মুকুল রায় বিবাদের প্রসঙ্গ।
এর আগে ২৮ অগস্ট যুব মোর্চার ২৯টি জেলার সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খান। সেটিই চূড়ান্ত বলে দাবি করেন সৌমিত্র। এদিকে, দিলীপ ঘোষ জানান, ওই তালিকা চূড়ান্ত নয়। এর পরই সেই তালিকা বাতিল হয়ে যায়।
এর পর ৩০ অগস্ট যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেন সৌমিত্র। ৬ সেপ্টেম্বর নতুন কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে খোদ সৌমিত্রই জানান যে সেটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। কারণ, রাজ্য কমিটিতে কিছু নাম সংযোজন করা বাকি।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পছন্দসই প্রকাশ দাস নামে একজনকে যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আর সেখানেই আপত্তি জানান সৌমিত্র ও ২ কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও শিবপ্রকাশ। বিজেপি–র দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ শঙ্কুদেব পাণ্ডা বা অনুপম হাজরাকে বিজেপি–র যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করতে চান কৈলাস। এর পরই ৬ সেপ্টেম্বরের সেই বৈঠক বাতিল হয়।
দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রকাশ দাস নাকি মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ শঙ্কুদেব পাণ্ডা বা অনুপম হাজরা নাকি অন্য কেউ— কে হবেন বিজেপি–র যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক? তা সময়ই বলবে।