গতকাল সোমবার একটি বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে দুটি দলের সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লেক গার্ডেন্স এলাকা। এই ঘটনাটি ঘটেছিল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির সামনেই। পরিস্থিতি এতটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল যে শেষে সৌগত রায় নিজে পুলিশকে ফোন করে ডাকেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ।
তিনি জানান, ‘বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। সবকিছুর সঙ্গে রাজনীতি না জড়ানোই ভালো। পুলিশ প্রশাসন আছেন, আইনে যা যা করার তা দেখছেন। কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা সব রাজ্যে, সব দেশে ঘটে থাকে। তারজন্য পুলিশ আছে এবং পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ উল্লেখ্য, লেক গার্ডেন্সে দুই দলের সংঘর্ষে দু'জন আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১ টা নাগাদ লাঠি, রড নিয়ে দুই গোষ্ঠী মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল সৌগত রায়ের বাড়ির একেবারে সামনে। হইচই শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট চলছে। তখন তিনি পুলিশে খবর দেন।
ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত ২ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তৃণমূল সাংসদ স্বীকার করে নিয়েছেন বকরা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সিন্ডিকেটের বখরা নিয়ে এই মারপিট হয়েছিল। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন সৌগত রায়। যে বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সৌগত রায় পুলিশকে অনুরোধ করেন সেই বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে। এরপরে পুলিশ বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে এই সিন্ডিকেটের বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী রায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।