দিনের পর দিন ধরে স্কুলের দরজা বন্ধ পড়ুয়াদের জন্য। ঘরবন্দি অবস্থায় কেটে যাচ্ছে একটা একটা করে দিন। সহপাঠীদের সামনা সামনি দেখারও সুযোগ নেই। এদিকে ডিজিটাল মাধ্যমেও মানাতে পারছে না পড়ুয়াদের একাংশ। সেই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের একাংশ মানসিক অবসাদের মধ্যে চলে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। সেকারণেই এবার পড়ুয়াদের মানসিকভাবে যথাযথ রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতর আগামী ২৩শে জানুয়ারি থেকে এনিয়ে ওয়েবিনার করবে। নাম দেওয়া হচ্ছে উজ্জীবন চর্চা। এই ওয়েবিনারে যেমন শিক্ষাবিদরা থাকবেন তেমনি মনোবিদরাও থাকবেন এই কর্মসূচিতে। তাঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় মতামত নেবে শিক্ষাদফতর। তার উপরই নির্ভর করছে শিক্ষা দফতরের পরবর্তী সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে সরস্বতী পুজোর আগে আংশিকভাবে স্কুল খোলার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
এনিয়ে ইতিমধ্যে নবান্নকে শিক্ষাদফতর চিঠি দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে শেষ পর্যন্ত আদৌ সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য শ্রেণিকক্ষের দরজা খোলা হবে কি না তানিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার জেরে এবার শিক্ষকদের একাংশের মধ্যেও অসন্তোষ দানা বাঁধছে। স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরাও। সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্কুল খোলার দাবি উঠতে শুরু করেছে। এদিকে ভোট হচ্ছে, পানশালা খুলছে, অথচ পাঠশালা কেন খুলছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরাও।