হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশে। তারপর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের সেই পরিস্থিতির আঁচ লেগেছে ভারতেও। বিশেষত এপার বাংলায়। নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশকে ঘিরে।
এবার বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের ঘটনায় মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নানা ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক প্রশাসক তিনি ক্যাবিনেটমন্ত্রীর পদমর্যাদার সমান। তিনি একজন জাতীয় মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন। তিনি সরাসরি ভারতকে আক্রমণ করছেন। এই প্রশাসককে বলতে চাই, নুন আপনার আছে। আয়োডিনটা ভারতের। আমি এখান থেকে দাবি করছি ভিসা একশ শতাংশ বন্ধ করুন। আমরা প্রয়োজন হলে একদিন অপেক্ষা করে ভিসা দফতরে যাব। সম্পূর্ণভাবে ভিসা দেওয়া বন্ধ করুন। আমদানি রফতানি পারমিট ইস্যু করা বন্ধ করুন। বাকিটা আমরা বর্ডারে করব সোমবার থেকে। বলে দিলাম।
এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি, হিন্দুদের উপর আক্রমণ মন্দির ভাঙা বন্ধ করুন। আর এই ধরনের নাবালকদের ( মন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে) যাঁদের ওখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বসিয়েছেন। এই নাবালক যাঁরা মন্ত্রীর পদমর্যাদার তাঁদের এই ধরনের ভারত বিরোধী কথা বলা বন্ধ করুন। আর চিকিৎসা নেওয়ার জন্য করাচি লাহোরে যান। এখানে আসবেন না। পরিষ্কার বলে দিতে চাই আমরা। জানিয়েছেন শুভেন্দু।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানান শুভেন্দু। যেভাবে ভারত বিদ্বেষী কথাবার্তা বলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলেন শুভেন্দু।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, 'বাড়াবাড়ি হচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিজেপি নিয়ে আসছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বসে রয়েছেন হিন্দুরা। থানার বড় বাবু, বিচারপতি, এসপি, ডিএম, কত হিন্দু। এগুলো দেখা যায় না? মাদ্রাসার ছেলেরা মন্দির পাহারা দিয়ে পুজো করার সুযোগ করে দিয়েছে। এগুলো দেখতে পান না? পালটা হামলা যারা করছে, তারা অস্থির মস্তিষ্কের। বাংলাদেশে কোথায় কি ঘটেছে, প্রকৃতপক্ষ কতটা... অত্যাচার হলে নিশ্চিত ভাবে তার নিন্দা করতে হবে। তবে সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।'
সিদ্দিকুল্লা জানিয়েছেন, 'এখানে যখন বাবরি মসজিদের বিষয়ে বাংলাদেশ মুখ খুলেছিল, তখন মোদীজি বলেছিলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউনুস সাহেবও ভালো উত্তর দিয়েছেন - এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সন্ন্যাসী যদি অপরাধ করে অপরাধী, ইমাম অপরাধ করলে অপরাধী।