বিজেপি’র নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার কলকাতা এবং হাওড়ার একাধিক জায়গা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। বোমাবাজি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কোনও কিছুই বাদ যায়নি। সূত্রের খবর, এই ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরে ভবানী ভবনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর নবান্ন অভিযানের ফুটেজ খতিয়ে দেখতে সোজা ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ঝাড়গ্রাম থেকে হাওড়ায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ডুমুরজলা একলব্য স্কুল মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নেমে সোজা চলে যান নবান্নে। তবে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার স্যানিটাইজেশনের জন্য বন্ধ রয়েছে নবান্ন। সুতরাং নবান্নে আসেননি আধিকারিক এবং কর্মীরা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে ফিরে যান। বিজেপি’র দৌলতে ধুন্ধুমার বাধে হাওড়া সাঁতরাগাছি স্টেশনে। তুলকালাম বাধে হাওড়া ফোরশোর রোড, জিটি রোডে। জিটি রোডে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। হাওড়া ময়দান এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি-র মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ এক কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এই খবর পেয়ে সেখান থেকেই তিনি সোজা চলে যান ভবানী ভবনে। সেখানে ছিলেন ডিজি। ভবানী ভবনের কনফারেন্স রুমে ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বিজেপি’র নবান্ন অভিযানের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তিনি। সেই ফুটেজ বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা করার ঘটনা তুলে ধরা হবে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, হেস্টিংস এবং বড়বাজারে রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। একই পরিস্থিতি দেখা যায় সাঁতরাগাছি এবং হাওড়া ময়দানেও। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া ময়দান থেকে বলবিন্দর সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই এলাকায় বোমাও পড়ে। এই ফুটেজ দেখে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবেন কি না মুখ্যমন্ত্রী এখন সেটাই দেখার।