আবার বাংলাকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাও আবার ভ্যাকসিন নিয়ে। তাই বুধবার নবান্নের সভাঘর থেকে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন রাজ্যের কাছে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আছে তাতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু প্রথম ডোজ দেওয়া সবাইকে সম্বব নয়। কারণ রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। এই বিষযে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ভ্যাকসিন নেই। তাই কলকাতায় শুধু দ্বিতীয় ডোজ চলছে। অথচ উত্তরপ্রদেশ সাড়ে ৩ কোটি, মহারাষ্ট্র ৩ কোটি ডোজ পাচ্ছে। রাজস্থানের মতো ছোট রাজ্যও বেশি ভ্যাকসিন পাচ্ছে। তাহলে বাংলাকে নয় কেন? ছোট রাজ্যগুলিকে দেওয়া হলে আমাদের দেওয়া হচ্ছে না কেন?’
রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে। সুতরাং এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন নিয়ে মোট ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৪৭ জন দ্বিতীয় ডোজ পাননি। তার জেরে অনেকেই সময়মতো ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। এতে দেরী হয়ে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। তাহলে তা সঠিক সময়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
জানা গিয়েছে, আজ পুরসভার দু’একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ভবন নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে রাজ্যে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসবে তার ৫০% বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। রাজ্যে কোভিশিল্ডের মোট দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে তা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৬২। আর তাই আপাতত কলকাতায় শুধু দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে মোট ২.১৭ কোটি মানুষকে। কেন্দ্রে থেকে রাজ্যের হাতে এখনও পর্যন্ত এসেছে মোট ১.৯৯ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ। তার মধ্যে দেওয়া হয়েছে ১.৯৮ কোটি ডোজ। বাকিটা কিনেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৪১ লাখ সুপার স্প্রেডারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।