সুতোটা আগেই বেঁধেছিল। এবার তা পোক্ত করা হচ্ছে। তাই অনন্ত রায় (মহারাজ)–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছাকাছি আসছেন। আর এই কাছাকাছি আসার নেপথ্যে সমীকরণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কোচবিহার নিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিপি সিং একটি বৈঠক করেছিল কোনও একজনের সঙ্গে। সেখানে আমি গিয়েছিলাম। তাঁদের কিছু পরামর্শ ছিল। আমি সিএসকে বলব দেখে নিয়ে ফয়সালায় আসতে। বেশি দিন পড়ে না থাকে।’
মুখ্যমন্ত্রী কোন বিষয়ে বলছেন? কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী গ্রেটার নেতা অনন্ত রায়ের আমন্ত্রণেই বীর চিলা রায়ের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে কোচবিহার এসেছিলেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার সহ–সভাপতি প্রেমানন্দ দাস বলেন, ‘রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি ডিপি সিংয়ের সঙ্গে মহারাজার কথা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে যখন এসেছিলেন তখন তাঁর সঙ্গেও কথা হয়েছিল।’
তবে কী বিষয়ে কথা হয়েছে? তা নিয়ে কেউ কিছু খোলসা করেননি। কিন্তু সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও প্রস্তাব রেখেছিলেন অনন্ত রায় (মহারাজ)। সেই কাজ মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে কোচবিহারে এই সমীকরণ তৈরি হলে আগামী দিনে এখানে তৃণমূল কংগ্রেস বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। সেই কারণেই এই কাছাকাছি আসা বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী সমীকরণ রয়েছে? অনন্ত রায়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ভাল থাকায় এখানে ভাল ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করা তখনই সম্ভব যখন অনন্ত রায় মহারাজ শাসকদলের দিকে ঝুঁকবেন। ইতিমধ্যেই তিনি ঝুঁকেছেন। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আর সূত্রের খবর, এই অনন্ত মহারাজার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করা থেকে শুরু করে নানা মামলা রয়েছে। সেই মামলা থেকে মুক্তি পেতেই কাছাকাছি আসা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।