বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > প্রধান বিচারপতির শপথে রাজনৈতিক ক্লাইম্যাক্স, কাছে এসেও দূরত্বে মমতা–শুভেন্দু

প্রধান বিচারপতির শপথে রাজনৈতিক ক্লাইম্যাক্স, কাছে এসেও দূরত্বে মমতা–শুভেন্দু

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারী

ফিরহাদ–শুভেন্দু যখন পাশাপাশি তখন টুকটাক কথা বলতেও দেখা গেল দু’‌পক্ষকে। শুভেন্দু কথা শুরু করতেই যোগ্য সঙ্গত দেন ফিরহাদও। আসনে এটাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি বাংলার। রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষ হলেও দেখা হলে সৌজন্য বজায় থাকবে। আর সেটাই দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টে। কিছু সময় বিরোধী দলনেতা নিজের ফোনে চোখ রাখেন।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন তিরুনেলভেলি সুব্বাইয়া শিবজ্ঞানম। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালই প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। শপথবাক্য পাঠ শেষে প্রধান বিচারপতির দু’হাত ধরে তাঁকে অভিনন্দন জানালেন রাজ্যপাল। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পৌঁছলেন। কলকাতা হাইকোর্টের ১ নম্বর কোর্ট রুমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আর এখানেই দেখা গেল রাজনৈতিক ক্লাইম্যাক্স।

এখানে একমঞ্চে সব পক্ষ এলেও খানিকক্ষণ বাদেই নিজের আসন বদল করে শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করলেন তিনি প্রতিপক্ষ। আর তখনই রাজনৈতিক ক্লাইম্যাক্স সবার চোখে ধরা পড়ে যায়। বিরোধী দলনেতার আসন ছিল মেযর ফিরহাদ হাকিমের পাশে। শুভেন্দু সেখানে গিয়ে প্রথমে বসেনও। কিন্তু দ্রুত সেই আসন বদলে ফেলে অন্যত্র সরে যান। কলকাতা হাইকোর্টে যখন শপথবাক্য পাঠ চলছে তখন এই টানটান রাজনৈতিক ছবি সকলের সামনে ধরা পড়ে যায়। অনেকে তা দেখে মুচকি হেসেছেনও। আসলে ভাগ্যের কি বিড়ম্বনা!‌

ঠিক কী দেখা গেল?‌ এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ফাঁকেই রাজনৈতিক নেতাদের আসন নিয়ে তৈরি হল সেই বিশেষ ক্লাইম্যাক্স। এই অনুষ্ঠানে শুরুর কিছুক্ষণ আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর সেখানেই দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমের পাশের আসনেই বসে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ছবি উঠছে দেখে আসতে আসতে অন্য আসনে সরে গেলেন। শুভেন্দু আসন বদলানোর পর মমতার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে উঠে দাঁড়ান শুভেন্দু। কোনও কথা না বলেই চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ অন্যদিকে ফিরহাদ–শুভেন্দু যখন পাশাপাশি তখন টুকটাক কথা বলতেও দেখা গেল দু’‌পক্ষকে। শুভেন্দু কথা শুরু করতেই যোগ্য সঙ্গত দেন ফিরহাদও। আসনে এটাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি বাংলার। রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষ হলেও দেখা হলে সৌজন্য বজায় থাকবে। আর সেটাই দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টে। কিছু সময় বিরোধী দলনেতা নিজের ফোনে চোখ রাখেন। কিন্তু তার পরেই এই আসন বদলে নেন শুভেন্দু অধিকারী। ফিরহাদের পাশ থেকে তিনি চলে যান একেবারে বাম দিকে। পিছনে ছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তখন উঠে এসে ফিরহাদ, চন্দ্রিমা মলয়দের সঙ্গে একই সারিতে চলে আসেন।

বন্ধ করুন