এবার প্রকাশ্য সভায় গিয়ে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে দলের তফসিলি জাতি–উপজাতি সম্মেলনের সভায় হাজির হয়েছিলেন। সেই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ শুরু করতেই কেউ কেউ উঠে দাঁড়ান। দু’জন কথা বলতে এগিয়ে যান। ব্যারিকেড পেরিয়ে এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তখনই ক্ষেপে যান মুখ্যমন্ত্রী।
বক্তব্য রাখার আগেই দর্শকাসন থেকে উড়ে আসে নানা দাবি–দাওয়া। আর তাতেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিজেপি–সিপিএমের কথা শুনে অকারণ এই ধরনের আচরণ করছে অনেকে বলেই মন্তব্য মমতার। আসলে বিধানসভা নির্বাচনের চাপ বাড়ছে বলেই তিনি মেজাজ হারান বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, ‘আর ৪–৫ দিন পরই ভোটের দিন ঘোষণা হবে। এখন এত চাইলে হবে না। কয়েকটা বিজেপি আর কয়েকটা সিপিএম লোকের কথা শুনে এরকম করে কোনও লাভ নেই। ভোটের আগে ব্ল্যাকমেল করবেন না।’ নিজেই প্রশ্ন তোলেন, ‘কী দেওয়া হয়নি বলুন তো? সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, বিনামূল্যে রেশন থেকে সব সুবিধাই পাচ্ছে রাজ্যবাসী। এরপরও ভোটের আগে যা ইচ্ছা কেন চাওয়া হচ্ছে? এতেও যদি আমাকে পছন্দ না হয়, তাহলে আমায় ভোট দেবেন না। বাকিদের ভোটেই আমাদের সরকার তৈরি হয়ে যাবে।’
এরপরই সভা শেষে তাঁদের দু’জনকে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকে মঞ্চ থেকে নির্দেশ দেন, ওদের আসতে দিন। সভা শুরুর সময় কথা বলতে চাইলে আমার অসুবিধা হয়। সভার শেষে আসুন, নিশ্চয়ই শুনব। যাদের বকুনি দিয়েছিলাম তাদের পাঠিয়ে দিন আমার কাছে। এভাবেই শেষে সামলালেন মুখ্যমন্ত্রী।