আজ, বুধবার নবান্ন সভাঘরে শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের জট কাটাতে বৈঠক হয় বলে খবর। তবে জোর করে জমি নেওয়া হবে না বলেও এই বৈঠকে শিল্পপতিদের জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ৮ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যে কর্মসংস্থানের কথা জানান। এমনকী কর্মসংস্থান আরও বাড়তে চলেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? কলকাতাকে বাণিজ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় তৈরি হতে চলেছে একটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। আগামী ২১ মার্চ সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করবে রাজ্য সরকার। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। অবাক হয়ে যাবেন, এমএসএমই সেক্টরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হয়।’
এদিকে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারটি তৈরি করতে। ৩৫ হাজার বর্গ ফুটের ওই ট্রেড সেন্টারে আনুমানিক ৩৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘চাষের অযোগ্য জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। তবে কারও থেকে জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়। সরকারি জমিতে হোডিং দিতে হবে। ওই জমিতে যে শিল্প করিডর হবে তা লিখতে হবে। বৈঠকে তাজপুর বন্দর, শিল্প করিডর নিয়ে আলোচনা হয়। ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে উন্নতি করেছে রাজ্য। আরও ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’
অন্যদিকে সরকারিভাবে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এখনও শাহরুখ খান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার কিছুদিনের মধ্যেই কিং খানকে বাংলার মুখ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এদিন দেবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেব, তুমি বাবা একটু বাংলার অ্যাম্বাসেডর হয়ে যাও না। এমনিতে শাহরুখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আছেন। কিন্তু শাহরুখ তো খুব ব্যস্ত। তাই তুমি পর্যটনের অ্যাম্বাসেডর হয়ে যাও। তুমি আরও দু’তিনজনকে নিয়ে নিও।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup