আজ, গঙ্গাসাগরে মেলা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নের সভাঘরে মেলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে পর্য়ালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মেলা বিরল। যেখানে মানুষ এতটা জল পেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে যায়। এখানে ভিড় সামলানোর জন্য ৫১ কিলোমিটার ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করলে মিলবে প্রসাদ, গঙ্গাজল। যেকোন প্রান্তে পৌঁছে যাবে প্রসাদ। কোভিড–বিধি মেনেই গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় আসা দর্শকদের জন্য বিশেষ বিমার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রী আগেও বারবার বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগরে ৫টি সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে ১১টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মেলা উপলক্ষ্যে রেলকে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর অনুরোধ করা হবে। এছাড়া বাড়তি সরকারি–বেসরকারি বাস তো চলবেই। ২,২৫০টি সরকারি বাসের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এই নিয়ে জেলাশাসক উল্গানথনের কাছে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্গানাথন মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, সাগরে যাওয়ার পথ ড্রেজিং করা হয়েছে। দিনে ১৮ ঘণ্টা যাত্রী চলাচল করতে পারে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গঙ্গাসাগরে বসানো হচ্ছে ১০৫০টি সিসিটিভি। থাকছে ২০টি নজরদারি ড্রোন, জিপিএস গাইডেড মনিটারিং, ইন্ট্রিগেটেড কন্ট্রোল রুম থাকছে। দুর্ঘটনা রুখতে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগরে ১০টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। হিন্দিভাষী লোকেদের জন্য বিশেষ সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। তবে মেলায় কোন ভিভিআইপি প্রবেশাধিকার নেই।’
বৈঠকের পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অনলাইনে থাকছে ই–দর্শন। অনলাইনে অর্ডার করলে দেশের যে কোনও প্রান্তে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। এখানে পিলগ্রিমেজ ম্যানেজমেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম রাখা হচ্ছে। এটি ভিড় সামাল দিতে কাজে লাগবে। কেউ হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে। ১২ জানুয়ারি থেকে মেলা প্রাঙ্গণে লোক আসতে শুরু করে। সেই মতো প্রশাসনকে সব ব্যবস্থা নিতে হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় ৬০০ বেডের কোভিড হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ১৩টি আরটি–পিসিআর টেস্টিং সেন্টার থাকবে।’