কলকাতা হাইকোর্টে এখন ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় তখন সিপিআইএম আমলের দুর্নীতি নিয়ে আর এক বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আজ, সোমবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, রাইট টুমেক ব্লান্ডার্স। ভুল করাটাও একটা অধিকার। অশোক গাঙ্গুলীর (বিচারপতি) সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাবে সুসম্পর্ক নেই। তিনি একটা রায় দিয়েছিলেন কোর্টে। যদি কোনও ক্ষেত্রে দেখো ভুল হয়েছে, তাহলে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সিপিআইএমের আমলে স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারি হয়েছিল, উনি সেটাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। হতেই পারে। কত গাদা গাদা কমিটি আছে। আমাদের সময় কাগজ আছে তাই দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে। ওদের সময় কোনও কাগজই নেই।’ এই কথার মধ্যে দিয়ে সিপিআইএমের সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেও বার্তা দিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছিল? বামফ্রন্ট সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনিয়ম নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। হুগলিতে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অসিত পাত্রকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। ওই দুর্নীতি কাণ্ডেই আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসুর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গড়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
আর কী জানা যাচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী আজ নির্দিষ্ট করে কোনও কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করেননি। তবে স্পষ্ট করে বলেছেন, বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় তখন সিপিআইএমকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। এখন দেখার একজন বিচারপতি সম্পর্কে এই মন্তব্যের জন্য কোনও আইনি জটিলতা তৈরি হয় কিনা।