মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই পথে হেঁটে বুধবার থেকে ‘গ্রামে জাগরণ’-এর ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে পঞ্চায়েত দফতরের ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে মমতার বার্তা, করোনার পর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গেলে সচল করতে হবে গ্রামের অর্থনীতিকে।
মঙ্গলবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে জেলায় জেলায় ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে বলেছিলেন, কোন জেলায় কী ভাবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে সব থেকে বেশি মানুষকে ১০০ দিনের কাজে নিয়োগ করা যায় তার অনুপুঙ্খ পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এদিন একধাপ এগিয়ে ‘গ্রামে জাগরণ’ ঘটানের ডাক দেন তিনি।
সেজন্য ১০০ দিনের কাজের পাশাপাশি, পুজোর মধ্যে বাংলা আবাস যোজনা ও গ্রামসড়ক যোজনার কাজ শেষ করতে বলেছেন। সঙ্গে জেলায় জেলায় মানুষকে কাজে নিয়োগ করতে অভিনব পন্থা ভাবার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখুনি যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই তা টের পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর করোনার প্রধান আড়ৎ হয়েছে কলকাতা-সহ দেশের শহরগুলি। ফলে শহুরে অর্থনীতি কবে স্বাভাবিক হবে তা এখন বলা অসম্ভব। ওদিকে শহর থেকে গ্রামে ফিরে আসা মানুষগুলো খাবে কী? সরকারি সাহায্যও তো অনির্দিষ্ট কাল চালানো সম্ভব নয়। তাই গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করার ডাক দিলেন মমতা। এতে কিছুটা ঝুঁকি নিশ্চই রয়েছে, তবে উপায়ই বা আর কী?